হাছান মাহমুদের বক্তব্যকে ‘ভূতের মুখে রামনাম’ বললেন মির্জা ফখরুল ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটাকে ভূতের মুখে রামনাম বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, তাদের (আওয়ামী লীগ) মুখে গণতন্ত্রের কথা মানুষ বিশ্বাস করে না। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী শাসনের পতন হয় গত ৫ আগস্ট। শেখ হাসিনাসহ দলের নেতাদের একটা বড় অংশ বিদেশে পালিয়ে গেছেন। অনেকে গ্রেপ্তার হয়ে জেলে গেছেন। বাকি নেতা–কর্মীরা রয়েছেন আত্মগোপনে। বিপর্যস্ত এই পরিস্থিতিতে হাছান মাহমুদ যখন বিএনপির সঙ্গে কাজ করতে আওয়ামী লীগের আগ্রহের কথা বলছেন, তখন দলটির ভেতরে এ ধরনের চিন্তা থাকতে পারে বলে বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন। তবে বিএনপি নেতারা তা নাকচ করে দিয়েছেন।
লন্ডনভিত্তিক টেলিভিশন ‘চ্যানেল এস’ হাছান মাহমুদের এক সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে গত রোববার। তার সেই সাক্ষাৎকার দেশের কয়েকটি পত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে তিনি বলেছেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে না পারা আওয়ামী লীগের বড় রাজনৈতিক ভুল ছিল।
এ ছাড়া হাছান মাহমুদ বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির সঙ্গে কাজ করতে তার দল (আওয়ামী লীগ) আগ্রহী। বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক ক্ষেত্রে বিএনপির অবস্থানের সঙ্গে তিনি একমত বলেও মন্তব্য করেন। তবে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনে দলটির নেতাদের যাঁরা বিএনপির কড়া সমালোচক ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হাছান মাহমুদ।এখন হাছান মাহমুদ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কাজ করার আগ্রহের বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে ব্যাপারে বিএনপির বক্তব্য জানতে চাইলে দলটির মহাসচিব প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভূতের মুখে রামনাম। আমরা আগেও বলেছি এবং এখনো বলছি, তারা (আওয়ামী লীগ) এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলে। এ কথা শুনলে ঘোড়াও হাসবে।’মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, গণতন্ত্র আনতে দেশের মানুষ তাদের (আওয়ামী লীগ) তাড়িয়ে দিয়েছে। তারা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। তাদের মুখে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা শোভা পায় না।আওয়ামী লীগ দেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার কথা বললে সেটা জনগণ বিশ্বাস করে না বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির মহাসচিব।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক হয়েছেন, এমন গুঞ্জনও ছড়িয়েছিল। পরে তার অবস্থান সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি বিদেশে কোথাও অবস্থান করছেন।